মোঃ আজগার আলী, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা আশাশুনিতে নারী কেলেংকারীর দায়ে আটক ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন ওরফে কেটু মোক্তারকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৭ জুন বুধবার আশাশুনি প্রেস ক্লাবে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম এসংবাদ সম্মেলন করেন।

সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে কামরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, আমার নিজের ও ছেলে কাজল হোসেন এর দুটি দোকান আছে হাজী মার্কেট বাজারে। সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসছি। আমাদের আনুলিয়া ০৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন সানা ওরফে কেটু মোক্তার দীর্ঘদিন যাবৎ নারী কেলেংকারীসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।

ইতঃপূর্বে তিনি দুটি নারী কেলেংকারী ও একটি হত্যা মামলার আসামি হিসাবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ৩টি মামলাই বিচারাধীন আছে এবং দ্রুত বিচার আইনের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী মামলায় জেল হাজত খেটেছেন। মামলাটিও বিচারাধীন আছে। গত ৩০ মে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মির্জাপুর গ্রামে শাহবুদ্দীন সানা কাজের জন্য বাইরে থাকার সুযোগে মেম্বার মোক্তার তাদের ঘরে ঢুকে শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। ভিকটিমের চিৎকারে পাশের লোকজন ঘরের মধ্যে থাকা অবস্থায় মেম্বারকে আটক করে।

গ্রামের লোকজন উপস্থিত হয়ে পুলিশকে খবর দিলে এসআই মহিদ সাহেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে থানায় নিয়ে যান। ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ঐ নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে আটক মেম্বারকে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।

এঘটনার পর থেকে কেটু মোক্তারের চাচা আলহাজ্ব আঃ হাকিম সানার নেতৃত্বে তাদের দলীয় লোকজন আমাকে সহ পরিবারের লোকজনকে শায়েস্তা করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তারা আমাদেরকে বাড়ী থেকে বের হতে দিচ্ছেনা। জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। বাড়ির লোকজন বের হলে হাত-পা ভেঙ্গে জীবনে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ও আস্ফালন করছে।
আমরা জীবনের ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে রেখেছি। আমার পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না, এমনকি আমার ছেলে সজল হোসেন আজ ৭ই জুন (বুধবার) পরীক্ষা থাকলেও তাদের ভয়ে স্কুলে যেতে পারিনি। আমরা চরম ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

ইতোমধ্যে তারা মির্জাপুর গ্রামের মৃত আছের গাজীর ছেলে ওকালতকে বেদম মারপিট করলে তাকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোক্তার মেম্বার আইনে সোপর্দ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আলহাজ্ব আঃ হাকিম সানার নেতৃত্বে একটি মহল সর্বদা এলাকায় টহল দিচ্ছে। আমরা যাতে তাদের রোষানল থেকে রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা পেতে পারি সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।